এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে ১০০০ ডলার আয় করুন

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে ১০০০ ডলার আয় করুন

এফিলিয়েট মার্কেটিং (affiliate marketing) হল বর্তমান সময় ইন্টারনেট থেকে আয় করার সব চাইতে জনপ্রিয় একটি উপায়। এফিলিয়েট মার্কেটিং (affiliate marketing) এর মাধ্যমে আপনি মাসে ১০০০ ডলারের উপরে আয় করতে পারেন। প্রশ্ন হল এই এফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে কি? (What is affiliate marketing). আমরা জানলাম এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে ১০০০ ডলারের উপরে আয় করা সম্ভব। কিন্তু অনেকেই ভাল করে জানেন না ।চলুন বিস্তারিত উপায় সম্পর্কে জানি। (শেষ পর্যন্ত পড়ুন একটা ভাল ধারণা পেয়ে যাবেন। )

এফিলিয়েট মার্কেটিং হল পণ্য বিপণন করা। আমরা জানি বর্তমান সময়ে অনলাইন শপিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কোন জিনিস কিনতে হলে এখন আর আমাদের মার্কেটে যেতে হয় না। ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে অর্ডার করলে পন্য আমাদের বাসায় পৌঁছে দিয়ে যায় বিভিন্ন কোম্পানি। এই অনলাইনে পণ্য বিক্রির জন্য অনেক কোম্পানি রয়েছে। কিন্তু আপনি কোন কোম্পানির থেকে পণ্যটি কিনবেন? বা কোন পণ্য ভালো হবে আপনার জানা দরকার । এবং কোন সাইট সবচাইতে ভালো সুবিধা প্রদান করে এটাও আপনার জানা আবশ্যক। তবেই তো আপনি সর্বোচ্চ মানের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। আপনার বিভিন্ন সাইটে দেখতে পান বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ। এগুলো দেখে বুঝতে পারি পণ্যের গুণগত মান এবং অন্যান্য দিক। সেখানে পণ্য অর্ডার করার লিংক দেওয়া থাকে।যার মাধ্যমে আপনি পণ্যটি কিনতে পারবেন। তাহলে কে এই পণ্যটি রিভিউ বা কেনই বা করল এখানে তার স্বার্থ কি?

এখানে মূলত পণ্যের রিভিউ লেখার কারণ হল আপনি যাতে পণ্যটি ক্রয় করতে আগ্রহী হন। তার দেওয়া লিঙ্ক থেকে পণ্যটি কিনেন। যখন আপনি তার দেওয়া লিঙ্ক থেকে কিনবেন তখন সে একটি নির্ধারিত কমিশন পাবে।যা তার একাউন্টে জমা হবে। এটিই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। তাহলে আমরা সহজেই বুঝতে পারলাম এফেলিয়েট মার্কেটিং হল কোন অনলাইন শপিংয়ের সাইট থেকে কমিশনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করা। এবং বিভিন্ন সাইট রয়েছে যারা বিভিন্ন শর্তে তাদের সাথে পণ্য বিক্রি করলে কমিশন দিয়ে থাকে।এ সকল সাইটের মধ্যে অন্যতম হলো অ্যামাজন। অ্যামাজন থেকে কমিশনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা কে বলা হয় আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং।এবং বর্তমানে যারাই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে তাদের মধ্যে সিংহভাগই আমাজনের সাথে যুক্ত রয়েছে।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করলে কি আমরা আয় করতে পারবো? কত টাকা আয় করতে পারবো এফিলিয়েট মার্কেটিং করে? এবং কতটা পরিশ্রম করতে হবে? এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করলেই আপনি আয় করতে পারবেন তা কিন্তু নয়। যখন আপনি আপনার সাইটের পাঠককে ক্রেতায় রূপান্তরিত করতে পারেন তাহলেই আপনি সফল হতে পারেন।এবং  তার কাছে কাঙ্খিত পণ্যটি বিক্রয় করতে পারবেন।এবং তাহলেই আয় করতে পারবেন। যাক আপনি পণ্য বিক্রয় করতে সক্ষম।কিন্তু তাহলে আপনি মাসে কত টাকা আয় করতে পারবেন এটা কখনোই নির্ধারিত নয়।আয় সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতা এবং বিক্রয়ের উপর। কারণ অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই কোনো নির্ধারিত বেতন নেই। অবশ্যই আপনি যত ভালো এবং যত বেশি কাজ করতে পারবেন ততবেশি আয় করতে পারবেন। তবে আপনি এখানে খুব সহজেই 100 থেকে 1000 ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এবং দক্ষতার পরিচয় দিতে পারলে আপনি এই আয় লাখ ডলারে রূপান্তরিত করতে পারবেন।

আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন ভাবছেন কিন্তু কোন সাইট থেকে কাজ করবেন?

এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই প্রথম পছন্দ হিসেবে অ্যামাজন (Amazon) কে বেছে নিতে হবে। কারণ এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে এমাজন হচ্ছে সবথেকে জনপ্রিয় একটি সাইট। আপনি শুনলে অবাক হবেন যে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে দুই থেকে তিন লক্ষ ডলার আয় করে থাকেন এমন লোকও রয়েছে। এছাড়াও আরও জনপ্রিয় কয়েকটি সাইট হল আলি এক্সপ্রেস ,ইবে, ফ্লিপকার্ট ইত্যাদি।

এফিলিয়েট মার্কেটিং ও বাংলাদেশঃ

বাংলাদেশের BDshop এর এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ৩%-৭% পর্যন্ত কমিশন পেতে পারেন।আপনি ভাল একটা টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি BDshop থেকে যা ইনকাম করবেন,সেটা বিকাশ অথবা রকেটের মাধ্যমে টাকা পেয়ে যাবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং- এ সফল হতে যেসকল বিষয় মাথায় রাখতে হবে :

১: সঠিক নিশ/বিষয় নির্বাচন (Selection of right niche/Subject)

আপনি যে ধরণের দ্রব্য বিক্রয় করতে ইচ্ছুক।সেই দ্রব্যই হল আপনার নিশ বা বিষয়।

 এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য সঠিক নিশ নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আপনি কোন বিষয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক সেটা নির্ধারণ করতে হবে। যেমনঃ আপনি ইলেক্ট্রিক দ্রব্য,পোশাক,টেকনোলজি,ফুড আইটেম প্রচুর নিশ আছে।আপনি এর যে কোন একটা বিষয় নির্বাচন করে,কাজ শুরু করতে পারবেন এবং সঠিক ভাবে কাজ করতে পারলে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।

২: কিওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword Research)

 এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইটের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান বিষয় হলো কিওয়ার্ড রিসার্চ।কোন কিওয়ার্ড লোকজন বেশি সার্চ করে সেটা ইন্টারনেটে একটু খোজাখুজি করলেই পেয়ে যাবেন।

৩: ট্রাফিক জেনারেট : (Traffic Generate)

 ট্রাফিক জেনারেট করা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় বিষয়। কারন ট্রাফিক হলো সেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। যত বেশি ট্রাফিক জেনারেট করা হবে তত বেশি সেল আসার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।তবে ট্রাফিক জেনারেট করার ক্ষেত্রে সবসময় ফ্রি উপায় অবলম্বন করতে হবে। কারন এখানে আপনি আয় করার জন্য কাজ করছেন।যদি আপনাকে আয়ের জন্য আয়ের অনুপাতে বেশি ব্যয় করতে হয় তাহলে লাভবান হতে পারেন না।

৪: সোস্যাল মিডিয়া (Social Media)

 এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য সোস্যাল মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারন এখানে প্রচুর পরিমাণ কাস্টমার থাকে।যেমন – facebook,Twitter,তাই আপনি  facebook বা Twitter ব্যবহার করে ভাল পরিমাণ সেল করতে পারবেন।এই ধরনের কাজ আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন এবং প্রচুর লোকেরা এই কাজ করে লাখ টাকা ইনকাম করছে।

উপরোক্ত বিষয় গুলো হলো খেয়াল করলে চললে আশাকরি আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।

1 COMMENT

Comments are closed.