অনলাইন আয়ের সেরা ৫ উপায় | Best 5 ways to earn from Online or Freelancing
Soumit Biswas
অনলাইন আয়ের সেরা ৫ উপায় Best 5 ways to earn from Online or Freelancing:বর্তমান সময়ে
অনলাইনে ইনকাম বা ফ্রিল্যান্সিং একটি
জনপ্রিয় আয়েরর উৎস হয়ে দাড়িঁয়েছে।
আমাদের দেশের 5 লক্ষেরও অধিক মানুষ
এই অনলাইন থেকে আয় করা
ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে জড়িত । এবং বর্তমানে
প্রচুর পরিমাণে মানুষ এই
ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে যুক্ত হচ্ছে। বর্তমানে
অনলাইন থেকে আয় করার
উপায় অনেক রয়েছে। আবার রয়েছে প্রফেশনাল
এবং নন-প্রফেশনাল
উপায়। মূলত যে সকল কাজ ঘরে বসেই অন্যদের
দ্বারা করে নেয়া
সম্ভব তার সকল ধরনের কাজে অনলাইনে পাওয়া যায়।
অর্থাৎ যে
কাজগুলো ইন্টারনেটের
মাধ্যমে গ্রহণ করে আবার ইন্টারনেটের
মাধ্যমে সাবমিট করা যায়। আজ আমরা
কয়েকটি প্রফেশনাল
ইনকামের উপায় সম্পর্কে জানব। যে কাজগুলো
তে আমরা
দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আমাদের আর
কখনোই পিছনে
ফিরে তাকাতে হবে না। এসকল কাজ করে
আপনি মাসে
লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন ঘরে বসেই।
তবে
লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছাতে হলে অবশ্যই
আপনাকে ধৈর্য
সহকারে কাজ শিখতে হবে। এবং
ভালোভাবে কাজ
শিখে তারপরে মার্কেট প্লেসে নামা উচিত। তাহলে
সফলতা অর্জন সহজ হয়। আসুন এমন কয়েকটি
উপায় সম্পর্কে জেনে নেই-
ওয়েব ডিজাইন ও ডেভলপমেন্ট( web design and development ) :
বর্তমানে অনলাইন মার্কেট প্লেস গুলোতে
ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
এর চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে দেখা যাচ্ছে।
এবং ভবিষ্যতে এর চাহিদা আরো বিপুল
পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
কারণ পৃথিবী আধুনিক হচ্ছে সেই সাথে
আধুনিক হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য
সকল কিছুই। বর্তমান সময় কে বলা হয়
ইন্টারনেটের যুগ। বর্তমানে দেখা যায় বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানে তাদের ব্যবসা প্রচার এবং প্রসারের
জন্য ওয়েবসাইট ব্যবহার করে থাকে। এর বাইরে
ও বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইট রয়েছে। বর্তমানে
প্রতি নিয়ত পৃথিবীতে নতুন ওয়েবসাইট তৈরি
হচ্ছে। এবং অনলাইন ইনকামিং ফ্রিল্যান্সিং
মার্কেট প্লেস গুলোতে এই ওয়েব ডিজাইন
এবং ওয়েব ডেভলপমেন্ট একটি বড় জায়গা
দখল করে রয়েছে। বড় জায়গা বলতে গেলে
বলতে হয় ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট
অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে শীর্ষে অবস্থান
করছে। একজন দক্ষ ওয়েব ডেভলপার বছরে
গড়ে ২০,০০০-৩০,০০০ ডলার ইনকাম করতে
পারবেন।একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট
ডিজাইন করার বাজেট হয়ে থাকে ১০,০০০-৩০,০০০ ডলার এর মত।
গ্রাফিক্স ডিজাইন( graphics design ):
ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর মত
গ্রাফিক ডিজাইন ও একটি জনপ্রিয় কাজ।
ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর পরেই
অবস্থান করে গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন
এর মধ্যে পড়ে লোগো ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন
এবং আরো বিভিন্ন কাজ। এ সকল কাজের জন্য
প্রচুর ডলার পে করে থাকে একজন দক্ষ বায়ার।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার বছরে গড়ে ৩০,০০০ ডলারের
বেশি ইনকাম করতে থাকেন। মার্কেটপ্লেস গ্রাফিক্স
ডিজাইনের কাজ প্রচুর পাওয়া যায়। তবে এ কাজে
সফলতা অর্জন করতে হলে আপনার ভেতরে প্রচুর
পরিমাণে সৃজনশীল দক্ষতা থাকা আবশ্যক। কিন্তু
কাজ শুরু করার আগে চিন্তা করার কোন কারণ
নেই।কারণ আপনি হয়তো চিন্তা করছেন এ সেক্টরে
কাজ করবেন কিন্তু বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে
শুরু করবেন। সেই জন্য রয়েছে গুগল,আছে ইউটিউব ।
আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চাইলে অনলাইনে প্রচুর
টিউটোরিয়াল রয়েছে,এগুলো পড়ুন ভিডিও দেখুন ।
নিজেই ভাল করে শিখতে পারবেন । তবে আপনি
চাইলেও ট্রেনিং সেন্টারে যেতে পারেন।সেক্ষেত্রে ভাল
করে যাচাই করে নিবেন।
এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হচ্ছে
ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যতম একটি উপায়।SEO -
Search Engine Optimisation এর প্রধান কাজ
হল কোন ওয়েব সাইট বা ওয়েব পেজ কে সার্চ
ইঞ্জিনের জন্য অপ্টিমাইজ করা। এর ফলে কোন
ওয়েব সাইট বা ওয়েব পেজ গুগল সহ অন্যান্য
সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে rank করে থাকে। তবে এ
কাজের জন্য দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন।
আর আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
করা এর কাজে দক্ষ হতে পারেন তাহলে এই
সেক্টরে আপনি ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন।
এবং আপনি যদি মার্কেটপ্লেসগুলোতে একবার
নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তাহলে প্রতি
মাসে এর থেকে ৫,০০০ -১০,০০০ হাজার ডলার
ইনকাম করতে পারবেন।এ সেক্টরে কাজের চাহিদা
ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট
বা শপিং সাইট তাদের কাঙ্ক্ষিত কাস্টমার পেয়ে
থাকে সার্চ ইঞ্জিন থেকে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানই চায়
তার ওয়েব সাইট গুগল বা ইয়াহু বা বিং এর ১ম
পেজে থাকুক।আর এ জন্যই Website SEO করতে হয়।
তাহলে সর্বোপরি বুঝতেই পারছেন সার্চ ইঞ্জিন
অপটিমাইজেশন এর ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে।
এটি মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত অন পেজ এসইও
এবং অফ পেজ এসইও। এর ভিতর আবার রয়েছে
অনেক ভাগ। যেমন কিওয়ার্ড রিসার্চ হচ্ছে সার্চ
ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান অংশ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (affiliate marketing):
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রধান কাজ হলো আপনি
কোন স্টোর থেকে পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে তাদের
পণ্যের ওপর নির্ধারিত কমিশন পাবেন। মনে
করেন একটি পণ্যের দাম 10 ডলার এবং
সেই পণ্যের আফিলিয়েট কমিশন নির্ধারণ
করা রয়েছে 10% তাহলে আপনি এই পণ্যটি
বিক্রি করলে পাবেন 1 ডলার।
Top 5 Affiliate marketing Websites and program
১। ShareAsale Affiliates 2. Amazon Associates
3। Clickbank 4। eBay partners 5। Shopify Affiliate Program
Affiliate Program in Bangladesh:
Bdshop.com (বাংলাদেশি মার্কেটে ঘরে
বসে bdshop এর পণ্য বিক্রয় করেও
একটা ভাল টাকা ইনকাম করতে পারেন।)
আর্টিকেল রাইটিং( article writing):
(ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সবচেয়ে সহজ এবং পড়াশুনা
সম্পর্কিত তাই তারা স্বাভাবিক ভাবে নিজের
ইনকামে নিজে পড়াশুনা করতে পারে। অনলাইন
থেকে আয় জন্য সহজ এবং সুন্দর একটি মাধ্যম
হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং।ইংরেজি প্রফেশনাল
রাইটার হলে আপনি মাসে ১.৫-২ লক্ষ
টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ইংরেজি
রাইটার হলে ইনকাম বেশি বাংলা কন্টেন্ট
এ তুলনামূলক ভাবে ইনকাম কম ,তবে
আপনি দক্ষ হলে একটা পর্যায়ে ভাল ইনকাম
করতে পারবেন।যেসকল আর্টিকেল রাইটিং
এর কাজ করা হয় সেগুলো হলো বিভিন্ন
পণ্যের রিভিউ লেখা, এছাড়াও বিভিন্ন
ধরনের লেখালেখির কাজ রয়েছে অনলাইনে।
অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে আর্টিকেল রাইটিং
এর উপর কাজ করতে পারেন। অথবা লোকাল
কাজ করতে পারেন। তবে আর্টিকেল রাইটিং এর
মাধ্যমে যে শুধুমাত্র আপনি প্রফেশনাল ভাবে
ইনকাম করতে পারবেন তা নয় ছাত্রাবস্থায় আপনি এতে
করে আপনার হাত খরচের টাকা অনায়াসে
সংগ্রহ করতে পারেন। বাংলাদেশের অনেক
ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো আর্টিকেল পাবলিশ
এর উপর টাকা দিয়ে থাকে। সকল সাইটে কাজ
করলে মোটামুটি আপনার হাত খরচ টাকা উঠে যাবে।
তবে তার জন্য অবশ্যই নিজেকে একজন দক্ষ আর্টিকেল
রাইটার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যারা নতুন তারা লক্ষ
লক্ষ টাকার দিকে তাকাবেন না আপনি কাজ করুন
মাসে ৫,০০০-১০,০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।