অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায়।বিকাশে পেমেন্ট।

ছাত্র অবস্থায় অনলাইন থেকে আয় করে বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার ৫ উপায়।

অনলাইন থেকে আয় করার ইচ্ছে বর্তমানে সকলের ভিতরে রয়েছে। কারণ এর ফলে ঘরে বসেই প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করা সম্ভব। এছাড়াও স্টুডেন্টদের জন্য রয়েছে কোন প্রকার প্রফেশনাল দক্ষতা ছাড়াই আয় করার বিভিন্ন উপায়। আপনি এসকল সাইটে কাজ করে সরাসরি বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন। আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন।

তাহলে  দৈনিক খুব কম সময় খরচ করে দৈনিক হাত খরচের টাকা তুলে নিতে পারবেন। এজন্য প্রফেশনালি কোন দক্ষতার প্রয়োজন নাই। তো মাত্র একটি এন্ড্রয়েড ফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই আপনি আয় করতে পারবেন। স্টুডেন্ট অবস্থায় অনলাইন থেকে আয় করার সহজ এবং সবচেয়ে ভালো পাঁচটি উপায় আমরা আজ বর্ণনা করব। এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় দিলে আপনি এখান থেকে মোটামুটি ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আসুন তাহলে স্টুডেন্ট অবস্থায় অনলাইন থেকে আয় করার সেরা পাঁচটি উপায় সম্পর্কে জেনে নিন:

মাইক্রো জব সাইটে কাজ করার মাধ্যমে আয়:

অনলাইনে বিভিন্ন মাইক্রো জব সাইট রয়েছে যেখানে কাজ করার মাধ্যমে আপনি ডলার আয় করতে পারবেন। সকল সাইটের মধ্যে জনপ্রিয় একটি সাইট হল microworkers.com এ ছাড়াও  Picoworker.com এছাড়াও আরও অনেক সাইট রয়েছে যেমন- peopleperhour.com এধরনের সাইটে কাজ করে আপনি ভালো পরিমান আয় করতে পারেন এসব ওয়েবসাইট ডলার পেমেন্ট করে থাকে এবং সর্বনিম্ন 5 ডলার হলেই আপনি টাকা তুলতে পারবেন এসব সাইটে প্রধানত বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকে যেমন বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করা অ্যাপ ডাউনলোড করা ফেসবুক পেইজে লাইক দেওয়া ইউটিউব ভিডিও দেখা বিভিন্ন সাইটে সাইন আপ করা এখানে প্রতিটি কাজের জন্য আপনাকে 0.03 সেন্ট থেকে এক ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট করে থাকে।

পিটিসি সাইট বা অ্যাপস এ কাজ করে আয়–

আমরা অনেকেই পিটিসি সাইট সর্ম্পকে জানি আবার অনেকেই জানিনা। PTC শব্দের পূর্ণরূপ হলো পেইড-টু-ক্লিক (Paid to Click) এখানে আপনি বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে আয় করতে পারবেন। এটি জনপ্রিয় একটি স্টুডেন্ট জব যার মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী তাদের হাত খরচের টাকা আয় করে থাকে। এবং আপনার একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা হলে আপনি বিকাশ অথবা মোবাইল রিচার্জের মাধ্যমে তুলে নিতে পারবেন।অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায় এখানে মূলত কাজ হলো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা। এবং এসব সাইটগুলো মোটামুটি ভালো পরিমাণ টাকা দিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে আছে মোটামুটি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন পড়াশোনা এবং কাজের ফাঁকে ফাঁকে।

ব্লগিং করে আয়–

স্টুডেন্ট অবস্থায় অনলাইন থেকে আয় এর অন্যতম আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে ব্লগিং। এর মাধ্যমে আপনি ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এবং সেইসাথে জ্ঞানচর্চা ও করতে পারবেন। ব্লগ থেকে আয়ের এর প্রধান উৎস হচ্ছে গুগল এডসেন্স। তবে গুগল এডসেন্স এর পাশাপাশি আপনি আরও বিভিন্ন উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন। এর জন্য দরকার মনোবল এবং লেখালেখির দক্ষতা। তবে আপনি ব্লগিং শুরু করলে লেখালেখিতে আপনি আস্তে আস্তে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। যদি ভেবে থাকেন কোন বিষয়ের উপর লেখালেখি করবেন তাহলে আপনি যে বিষয়ে জানেন সেই বিষয়ের উপর ব্লক তৈরি করতে পারেন। কারণ ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই যে আপনাকে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর লিখতে হবে। ব্লগিংয়ের জন্য একটি ব্লগের দরকার। যা আপনি সামান্য কিছু টাকা খরচ করে তৈরি করে নিতে পারেন। অথবা গুগলের ব্লগার থেকে ফ্রিতে ব্লগিং শুরু করতে পারেন। এখানে ডোমেইন এবং হোস্টিং এর জন্য কোন টাকা নেওয়া হয় না। তবে একটি ডোমেইন কিনে আপনি আপনার ব্লগ থেকে প্রিমিয়াম লুক দিতে পারেন। এবং 25 30 টি আর্টিকেল লিখে গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করলে অনায়াসেই আপনার এডসেন্স এপ্রুভ হবে এবং বিজ্ঞাপন থেকে আয় শুরু হবে।

ব্লগিং বা ওয়েবসাইট তৈরি করা মাসে হাজার হাজার এমনকি লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়।

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয়

অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে ইউটিউব চ্যানেল একটি অন্যতম উপায়। এটি শুধুমাত্র স্টুডেন্টদের জন্য নয় বরঞ্চ আপনি প্রফেশনাল কিভাবে ইউটিউব এ ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। ইউটিউব এর প্রধান কাজ হল ভিডিও তৈরি করা। যেকোনো ধরনের ভিডিও তৈরি করে আপনি ইউটিউবে আপলোড এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। টাকা এর জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজেশন অন করা লাগবে এজন্য আপনাকে 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম সংগ্রহ করতে হবে। যা মোটামুটি তিন চার মাস প্রচেষ্টা করলেই সম্ভব। যদি ইউটিউব থেকে আয় করা একবার শুরু হয় তাহলে আপনি ওই চ্যানেল থেকে সারাজীবন আয় করতে পারবেন।অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায় একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে মাসে 100 থেকে 1000 ডলার আয় করা সম্ভব। এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে পারলে এর থেকেও অনেক বেশি আয় করা সম্ভব।

 ICO (Initial Coin Offering)বা এয়ার্ড্রপ থেকে আয়–

আইসিও বা এয়ার্ড্রপ হলো বিভিন্ন ক্রিপ্টকারেন্সি(cryptocurrency) এর নতুন কয়েন যখন মার্কেটে আসে তখন তারা ফ্রিতে কয়েন দিয়ে থাকে। এ সকল সাইটে সাইন আপ করার মাধ্যমে আপনি কিছু পরিমাণ কয়েন আয় করতে পারবেন। এই কয়েনগুলো আপনি বিভিন্ন ওয়ালেটে তুলে নিতে পারবেন। এবং পরবর্তীতে যখন এই কয়েনের এক্সচেঞ্জ আসবে তখন তারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে টাকা তুলে নিতে পারবেন। এয়ার্ড্রপ থেকে মাসে অনায়াসেই 20-30 হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। তবে সকল এয়ার্ড্রপ সফল হয় না এবং এক্সচেঞ্জ আসেনা। যে সকল এয়ার্ড্রপ সফল হতে পারেনা তা এক্সচেঞ্জ করা সম্ভব নয়। কিন্তু যে সকল এয়ার্ড্রয়েড সফল হয় তা থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ আসেন। এবং প্রতিমাসে আপনি যদি 100 এয়ার্ড্রপ সাইটে জয়েন করেন তাহলে 50 থেকে 60 টি সাইটে পেমেন্ট পাবেন। মূলত এসকল সাইটের কাজ হলো জয়েন করা এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া টা কমপ্লিট ও রেফারেল করার মাধ্যমে অন্যদের জয়েন করানো।

উপরোক্ত এই পাঁচটি উপায় কাজ করে আপনি ভালো পরিমাণ আয় করতে পারবেন ঘরে বসে। এবং ঘরে বসেই এই টাকা বিকাশে তুলে নিতে পারবেন। যা দিয়ে একটি স্টুডেন্ট তার পড়ালেখা এবং হাত খরচের টাকা তুলতে পারে। তবে অনলাইন থেকে আয় করার ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করা অবশ্যই দরকার। একটি কাজে অসফল হলে কখনোই ধৈর্য হারানো উচিত নয়। বরংচ বারবার চেষ্টা করে সফল হওয়াই লক্ষ্য হওয়া উচিত। তাহলে আপনি অনলাইনে সফল হতে পারবেন। এবং একবার কাজ শুরু করলেন অনলাইন থেকে আয় আরো বিভিন্ন উপায়ে আপনার সামনে উপস্থিত হবে।