আপনি কি ছাত্র ? তাহলে কোনটি আপনার জন্য সেরা?
চাকরি করবেন নাকি চাকরি দিবেন?
চাকরি নাকি আত্মকর্মসংস্থান ?
চাকরিতে সুযোগ-সুবিধা কেমন?আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে কী কী প্রতিবন্ধকতা আছে,সুযোগ-সুবিধা কেমন ?
বাংলাদেশে ৯ম গ্রেডের (বা ১ম শ্রেনী) কোন সরকারি চাকরিতে গেলে আপনার বেতন হবে ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকার মধ্যে।এবং এই বেতন খুবই সামান্য পরিমানে প্রতি বছর বাড়বে।
স্বনির্ভর হওয়ার বিভিন্ন উপায়।।
ফ্রিলান্সিং জবঃ
আপনি যদি ব্যবসা বা আত্মকর্মসংস্থানের পথ বেছে নেন ,তবে আপনার ইনকাম শূন্য থেকে শুরু হবে কিন্তু আপনি ধৈর্য ধরে কাজ করলে এই ইনকাম লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যাবে অনায়াসেই।বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিলান্সিং করেও হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে এমনকি লাখের ঘরে ইনকাম এমন ছেলে-মেয়ের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। (কোন কোন উপায়ে ফ্রিলান্সিং করতে পারেন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কোন পেশা ভাল হবে এ সম্পর্কে জানতে পড়ুন …ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন আয়ের সেরা ৫ উপায়| Best 5 ways to earn from Online or Freelancing
চাকরি পাওয়াটা বর্তমান সময় সোনার হরিণ হয়ে গিয়েছে আমাদের দেশে।বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে বেকার যুবক যুবতীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।এর প্রধান কারন হলো আমাদের দেশের লোকজন সবাই চাকরির জন্য পাগল।আমাদের দেশের কোন যুবক যুবতীরা আত্ম নির্ভরশীল হওয়ার চিন্তা করেন না।যার ফলে চাকরি বাজারে দেখা দিয়েছে মন্দা।যেখানে চাকরি সীমিত সেখানে প্রার্থী বেশি।একারনেই আমরা অনেকেই যোগ্য প্রার্থী হয়েও চাকরি পাইনা। বর্তমান সময় দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ১৩-১৪ লাখের ও বেশি। যা আমাদের দেশের জন্য একটা অভিশাপে রুপান্তরিত হয়েছে।এ কারনেই অনেকে আবার পড়ি জমান বিদেশের মাটিতে। তবে তাদের দুঃখ দূর্দশার কথা বিভিন্ন নিউজ এবং অনলাইনে দেখে থাকি।
আত্মকর্মসংস্থান কি? আত্মকর্মসংস্থান হলো নিজের কাজের যোগান নিজেই দেওয়া।অর্থাৎ জীবিকা নির্বাহ করার জন্য অন্য কারো উপর নির্ভর না করা। তা যে কোন উপায় হতে পারে। তবে তা বৈধ উপায় হতে হবে।তাহলে এক কথায় বলা যায় বৈধ উপায় যে কোন কাজের মাধ্যমে নিজের জীবিকার যোগান নিজে দেওয়াই হলো আত্মকর্মসংস্থান। যারা আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে তারা নিজেরা একদিকে যেমন স্বাবলম্বী হতে পেরেছেন। তেমনি তাদের জন্য অনেক বেকার যুবক যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারেন।
ব্যবসাঃ(কৃষি/মৎস্য/প্রজনন অন্যান্য)
আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আপনাকে কোন নির্দিষ্ট উপায় নেই বরং আপনি পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর নির্ভর করেই আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা উচিত।এর জন্য আপনি কৃষি,প্রজনন,মৎস্য চাষ,ব্যবসা প্রভৃতি উপায় অবলম্বন করতে পারেন।বাংলাদেশে কৃষি এবং প্রজনন শিল্প হচ্ছে একটি সম্ভবনাময় শিল্প। এমন অনেক শিক্ষিত যুবক রয়েছেন যারা এসকল উপায় অবলম্বনে সাবলম্বী হয়েছেন। তারা অপরের চাকরির বদলে নিজেরাই অন্যদের চাকরি প্রদান করে আসছে।
কেন আমাদের দেশে বেকারের সংখ্যা বেশি? আমাদের দেশের লোকজন কাজের ভিতর বিভেদ সৃষ্টি করেছে।এর প্রধান কারন হলো আমাদের নিচু মানসিকতা। যেখানে কাজ হলো জীবিকা নির্বাহ করার প্রধান উপায়।কাজ তো কাজই। সৎ পথে থেকে আপনি যাই করবেন,তাকে স্যালুট। সেখানে আমরা কাজের ভিতর বিশাল বিভেদ তৈরি করে রেখেছি।এর জন্য দায়ী আমাদের সমাজ ব্যবস্থা।একজন শিক্ষিত যুবক যদি তার আয়ের উৎস হিসেবে আউট সোর্সিং পেশাকে বা কৃষি কাজ বা মৎস্য চাষ বেছে নেয় তাহলে সমাজ তাকে অনেকেই বলতে পারে শিক্ষিত হয়ে কোন চাকরি না করে দেখ ছেলেটা কি করে বেড়াচ্ছে ?
যে যাই বলুক সেদিকে কান না দিয়ে এমন কাজ করে যেতে হবে যেখান থেকে আপনি সৎ পথে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আমরা কি কখনো চিন্তা করি একটি স্বনির্ভর জাতিই পারে একটি স্বনির্ভর দেশ গড়ে তুলতে। একজন উদ্যোগতাই পারে বেকার সমস্যা দুর করতে।
আমরা অনেকেই দেশে বেকার সমস্যা দূর করতে না পারাটাকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচনা করে থাকি।কখনোই চিন্তা করিনা দেশের সকল জনগণের জন্য সরকারি চাকরি প্রদান করা কোন দেশের সরকারের পক্ষেই সম্ভব নয়। এবং ব্যক্তিগত সমস্যা মোকাবেলা আমাদেরই করতে হবে।
আপনি যত পরিমান কাজ করতে পারবেন।আয়ও ততই বাড়তে থাকবে।চাকরির বেতন যেমন সীমাবদ্ধ। অপরদিকে একজন আত্মনির্ভরশীল ব্যক্তির আয় ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে। পৃথিবীতে যখন ধনবান ব্যক্তি রয়েছে তাদের কেউই চাকুরিজীবী নয়।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা ব্যাবসা,উৎপাদন প্রভৃতি শিল্পের সাথে জড়িত। এর থেকে আপনার বুঝতে পারছেন চাকরি নাকি আত্মকর্মসংস্থান সেরা? চাকরির থেকে আত্মকর্মসংস্থান কতটা লাভজনক ও সেরা।
চাকরি হলো নির্ধারিত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করা।আপনি যদি কোন চাকরি করেন তাহলে আপনার মাস শেষে নির্দিষ্ট একটি এমাউন্টই পাবেন।যা দিয়ে আপনার পরিবারের খরচ বহন করতে হয়। অপরদিকে একজন আত্মনির্ভরশীল ব্যাক্তির আয়ের পরিমান নির্দিষ্ট নয়।তাদের আয়ের পরিমান নির্ভর করে তাদের কাজের উপর।
সর্বোপরি বলতে চাই, যারা শিক্ষিত কিন্তু বেকার তারা চাকরি নামক সোনার হরিণের পিছনে না ছুটে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করুন।এর ফলে দেশের বেকার সমস্যা যেমন দূর হবে। তেমনি দেশ হয়ে উঠবে সমৃদ্ধ।