ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েনের অস্তিত্ব কি সত্যিকারেই আছে নাকি সবই কল্পনা
ভিনগ্রহের প্রানী বা এলিয়েনের অস্তিত্ব খুজে না পাওয়া গেলেও অনেকেই বিশ্বাস করে ভিনগ্রহের প্রাণীর বা এলিয়েনের অস্তিত্ব রয়েছে। অনেকেই বলেছেন ভীনগ্রহের প্রানীদের মস্তিষ্ক মানুষের থেকে উন্নত। ভীনগ্রহের প্রানীদের নিয়ে প্রচুর সিনেমা ও কল্প কাহিনী রয়েছে।আমেরিকা ভিন গ্রহের প্রাণীদের আটকে রেখেছে তাদের একটি গোপন জায়গায় এটাও অনেকে মনে করে ।
এলিয়েন নিয়ে বিজ্ঞানিদের গবেষণার শেষ নেই।রয়েছে কৌতূহলও। তবে শুধুমাত্র বিজ্ঞানীদের নয় সাধারন মানুষের ও কৌতূহল কম নেই। মূলত এলিয়েন হলো ভিনগ্রহের প্রাণী। বিজ্ঞানীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে এই ভিনগ্রহের প্রানি বা এলিয়েনদের খুজে বের করার জন্য। অনেকেরই ধারনা তারা এলিয়েন দেখেছে। আবার অনেকেই ধারনা করে এলিয়েন আছে। বিভিন্ন মানুষের ভিতরে মত বিভেদ থাকলেও বিজ্ঞানীরা কঠোর ভাবেই বিশ্বাস করেন যে কোন না কোন গ্রহে এলিয়েনের অস্তিত্ব অবশ্যই আছে।এবং তারা এও বিশ্বাস করেন এই পৃথিবীতেও এলিয়েনের যাতায়াত রয়েছে। আসুন এলিয়েন বিষয়ে কিছু তথ্য জেনে নেই!
এলিয়েন কি বা কেমন দেখতে –
এলিয়েন বলতে বোঝায় ভিনগ্রহের প্রানিদের। এবং মানুষ বিশ্বাস করে পৃথিবীর বাইরেও প্রানের অস্তিত্বও আছে। আর প্রানের এই অস্তিত্ব খোজা নিয়ে গবেষকরা তাদের গবেষণার কোন কমতি রাখেন নাই।এলিয়েন শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো ভিন গ্রহের প্রানি। এটি দেখতে অবিকল মানুষের মতো হবে তা কিন্তু নয়। অর্থাৎ এলিয়েন দেখতে বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে।এবং ক্ষুদ্রাকায় বা গোলাকৃতি ও হতে পারে। যেমন আমাদের পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের প্রানি রয়েছে। যাদের আকার এবং আকৃতিতে রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য। ঠিক তেমনি এলিয়েনদের আকৃতি নিয়ে মত বিভেদ থাকলেও বিজ্ঞান তার প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এলিয়েন সম্পর্কে বিভিন্ন যৌক্তিক মতবাদ প্রকাশ ছাড়াও এলিয়েনদের বিভিন্ন চিত্র অংকন করেছেন।
আসলেই কি এলিয়েন আছে নাকি এটি নিতান্তই মানুষের কল্পনা মাত্র? এলিয়েন নিয়ে সঠিক কোন তথ্য এখনও বিজ্ঞানীদের কাছে না থাকলেও বিভিন্ন গবেষণার উপর ভিত্তি করে তারা বলছেন সত্যিকার অর্থেই এলিয়েন রয়েছে। এবং এ কারনেই তারা এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা সর্বদা চালিয়ে যাচ্ছে। কারন তারা বিশ্বাস করে এই মহাবিশ্বে রয়েছে লক্ষ কোটি গ্রহ উপগ্রহ।তারা গবেষণার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন এগুলোর অনেক গুলোতেই প্রানের অস্তিত্ব রয়েছে। এবং প্রানি বসবাসের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও রয়েছে অনেক গ্রহে।তাদের এই দাবি আরো জোরদার হয় যখন পৃথিবীতে প্রানের অস্তিত্ব রয়েছে একারনেই অন্য কোন গ্রহেও প্রানের অস্তিত্ব অবশ্যই রয়েছে।
মিল্কিওয়ে-র ক্ষুদ্রতম একটি সৌর জগতের বাসিন্দা আমরা মানুষ। এরকম আরো হাজার হাজার সৌরজগত রয়েছে মিল্কিওয়ে-তে।রয়েছে ২০-৪০ হাজার কোটি নক্ষত্র। সূর্যও ঠিক তেমনি একটি নক্ষত্র। যাকে প্রদক্ষিণ করে অনাবরত ঘুরে চলছে আমাদের পৃথিবী। এখন পর্যন্ত মানুষের প্রযুক্তি শুধুমাত্র আমাদের সৌরজগতের সকল তথ্যই নিপুণ ভাবে সংগ্রহ করতে পারেনি।তাহলে সমগ্র মিল্কিওয়ে-তে যত কোটি কোটি গ্রহ উপগ্রহ রয়েছে তার খোজ নেওয়াটা বর্তমান সময় এসেও স্বপ্নের মতো। এর থেকে এলিয়েনের অস্তিত্ব স্বীকার করা অস্বাভাবিক কিছুই না।
এছাড়াও অনেকেই দাবি করে তারা বিভিন্ন সময় মহাকাশে UFO(=Unidentified Flying Object বা অচেনা উড়ন্ত বস্তু) মূলত UFO বলতে এলিয়েনদের যানবাহনেই বোঝানো হয়েছে।যা কিনা অনেকে দেখতে পেয়েছেন। তবে এখানেও সুনির্দিষ্ট কোন প্রমান মেলেনি। তবে অনেকের অনুমান এগুলো মানুষের দৃষ্টির ভূল।হয়তো এমনি আকাশযান যেমন বিমান বা রকেট ইত্যাদি তাদের দৃষ্টিতে ভিন্ন ভাবে উপলব্ধি করে এই খবর ছড়িয়েছে।
তবে ভিনগ্রহের প্রাণী সম্পর্কে বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন মতবাদ উপস্থাপন করেছেন।যেমন স্টিফেন হকিং এবং কার্ল সেগান কঠোর ভাবে বিশ্বাস করে অবশ্য পৃথিবীর বাইরেও প্রানের অস্তিত্ব রয়েছে। এ কারনেই এসকল বিজ্ঞানীদের যুক্তির সত্যিই গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে।
এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য পদক্ষেপ :
নাসার বিজ্ঞানিরা এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে থাকে। এবং তারা বিভিন্ন বার্তা এলিয়েনদের উদ্দেশ্য করে প্রেরন করে থাকে রেডিও ওয়েভ এর মাধ্যমে। এবং এসকল বার্তা বিভিন্ন ভাষায় হয়ে থাকে। কারন এলিয়েনদের ভাষা আমাদের ভাষা কখনোই এক হতে পারে না। শুধু এই পৃথিবীতে রয়েছে শতশত ভাষা। যেগুলো আমরা সবাই বুঝতে পারি না।যার ভাষা সেই বুঝতে পারি। তাই এই কারনে পৃথিবীর অনেক ভাষায় এলিয়েনদের নিকট বার্তা প্রেরণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।এমনকি বাদ পড়েনি বাংলা ভাষাও।
এছাড়া এই ভিনগ্রহের প্রানিদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন মুভি।লেখা হয়েছিল বিভিন্ন বই!